রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আইএলওর সাথে আলোচনা চলছে : আইনমন্ত্রী চার দশকে এই প্রথম মার্কিন-ইসরাইল জোটে ফাটল সকালের নাস্তার স্বাস্থ্যকর যেসব খাবার ‘তুফান’ ছবির বিরুদ্ধে আইন ভঙ্গের অভিযোগ, যা বললেন প্রযোজক ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নবায়নে তাগিদ সৌদি সরকারের: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালের লিফটে ‘৪৫ মিনিট’ আটকে রোগীর মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার সুপারিশ নিয়ে ভিন্ন কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে হতাশ করল বাংলাদেশ ছাত্ররা পিছিয়ে কেন, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া : কাদের

ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া : কাদের

স্বদেশ ডেস্ক:

নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করা আয়ের সঙ্গে দামি ঘড়িগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন সংবাদের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঘড়িগুলো কেনা নয়, উপহার পাওয়া। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

সম্প্রতি বিদেশি একটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হাতের ঘড়ির মূল্য প্রায় ৩৪ হাজার ডলার। রোলেক্সের সেই ঘড়িটির বাজার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঘড়িটি উপহারের।

সম্প্রতি সুইডেন ভিত্তিক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নেত্রা’ একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে তারা বলতে চেয়েছে, নির্বাচনী হলফনামায় ওবায়দুল কাদের যে বার্ষিক আয়ের তথ্য দিয়েছেন তার সঙ্গে তার (ওবায়দুল কাদের) যে সাতটি দামি ঘড়ি ব্যবহার করে, তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আপনার (ওবায়দুল কাদের) একটি ঘড়ির সঙ্গে সাদৃশ্য আছে, রোলেক্স ডে ডেট প্রেসিডেন্ট ঘড়ির, যেটির দাম ২৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, বাংলাদেশে ওই অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন,‘এটা আমি আজ প্রথম শুনলাম। আমার যত ঘড়ি আছে একটাও আমার নিজের না, পয়সা দিয়ে কেনা নয়। আপনি বিদেশে গেলেন এসে আমাকে একটা ঘড়ি দিলেন, আমি নিলাম। ফর গড সেক, আমি বলছি এগুলো আমার দামি পোশাক, এগুলো আমার কেনা নয়। কিন্তু আমি পাই, অনেকে আমাকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে। তারা বিদেশে আছে, আসার সময় আমার জন্য একটা স্যুট নিয়ে আসে। বুধবার সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কটি বানিয়ে নিয়ে এসেছেন।’

আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক খবরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ঘড়িসহ অন্য সবকিছুই উপহারের। কাজেই আল-জাজিরাসহ যারা ওই সংবাদটি প্রচার করেছে, তারা কিসের ভিত্তিতে করেছে, আমার জানা নেই। এটি তাদের বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘এই রকম আপনি যদি নিয়ে আসেন, আমাকে উপহার দেন, আমি কী করব। এটা গিফট আইটেম, এটা আমার নিজের নয়। এটা সড়কের সঙ্গে কোনো….। আমি তো বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, আমি কোনো কন্ট্রাক্টর থেকে, আমি কোনো কন্ট্রাক্টরকে এখানে বসতেও দেই না। আমার সঙ্গে কোনো কন্ট্রাক্টরের বৈঠকও হয় না, যেটা হত অতীতে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকাল পদোন্নতির জন্য কোনো তদবির হয় না। আমার এখানে চিফ ইঞ্জিনিয়ার নেক্সট সিনিয়র ম্যান, ১০ দিন সময় (চাকরির মেয়াদ) আছে, তাকেও আমি চিফ ইঞ্জিনিয়ার করেছি কয়েক দিন আগে। আগে তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে যাওয়া মানে হলো বিশাল ব্যাপার। এসব তো আপনারাই শুনতেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘কন্ট্রাক্টররা ইলেকশনের সময় আমাকে একটা অ্যামাউন্ট দিতে গিয়েছিল, আমি কিন্তু সরাসরি না করেছি। আমার ইলেকশনের টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন। আমার কারো থেকে টাকা নিতে হয়নি।’

এদিকে আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি নির্বাচনে অনেক বিতর্কিত প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। দেখেন কারা প্রত্যাহার করেন, আজকের পরে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

তিনি বলেন, যাদেরকে বিতর্কিত বলা হয় দেখা যায় নির্বাচনে তারাই জয়লাভ করে। এ রকম অতীতে অনেক দেখেছি। গতবারও সিটি নির্বাচনে হয়তো একজনকে মনোনয়ন দিয়েছি কিন্তু জিতেছে বিতর্কিত ব্যক্তি। জনগণ যাকে নির্বাচিত করে তাকে একসেপ্ট না করে তো উপায় নেই। এখন আমরা সবকিছু মূল্যয়ন করছি।

সড়ক নিয়ে অস্বস্তি আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সড়ক আইনে সংযম করছি। সড়ক আইনের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলছে, আমরা নিজেরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের জনবল সংকট আছে। বিআরটিএর জনবল বৃদ্ধি করা দরকার। আমরা শিগগিরই জনবল পেয়ে যাব। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য টেন্ডার হয়েছিল। সেখানে ত্রুটি দেখা গেছে, তাই অন্যায়ভাবে কাউকে আমরা কাজ দিতে পারি না। রিটেন্ডার করতে হচ্ছে বলে দেরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার এবং দলকে আলাদা করার জন্য অনেক মন্ত্রীকে দলের দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

এখন যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে কিনা। তার সিদ্ধান্ত আমরা সবাই মেনে নেব। আমাকে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে বললে আমিও ছেড়ে দেব।

মধ্যপ্রাচ্যে এক ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, বিষয়টি সরকার কিভাবে দেখছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। যেখানে আমেরিকা-ইরান মুখোমুখি অবস্থানে, সেখানে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন। তেলের দাম বাড়লে তার প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশেও আসবে। আমরা চাই তারা যুদ্ধ থেকে সরে আসুক। আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করুক। আমরা যুদ্ধ চাই না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877